ময়নূর রহমান বাবুলের বই পরিচিতি –
(৫) চোখের দেখা প্রাণের কথা – স্মৃতিচারণমূলক প্রবন্ধ গ্রন্থ। প্রথম প্রকাশ : মে : ২০১৩। প্রকাশক : আহমেদুর রশীদ চৌধুরী, শুদ্ধস্বর, বি-৬, কনকর্ড এম্পোরিয়াম শপিং কমপ্লেক্স, ২৫৩-২৫৪ ড. কদরত-ই খুদা রোড, কাটাবন, ঢাকা। প্রচ্ছদ : তৌহিন হাসান, স্বত্ব- শিরীন আকতার। মূল্য : ২৭০.০০টাকা। £6.০০ $12.০০, উৎসর্গ : ’আজহার আলী / নিজের এলাকায় পার্টির নির্বাচিত একজন এমপি ? শোষিত বঞ্চিত জনগোষ্ঠীর একজন প্রতিনীধি / সাম্য-ন্যায় প্রতিষ্ঠার বলিষ্ঠ উচ্চারণ নিয়ে / শ্রমজীবী মানুষের মুক্তির আন্দোলনে / বিজয় মশাল ছিনিয়ে আনার / প্রত্যাশা যাঁর রয়ে গেল / আমাদের / কাছে’। ১৪০ পৃষ্ঠার এই বইখানিতে সংকলিত হয়েছে বিশিষ্টজনদের সাথে লেখক ময়নূর রহমান বাবুলের স্মৃতিচারণ মূলক মোট ১৪টি লেখা।
২৭ আগস্ট মঙ্গলবার ২০১৩ সালে পূর্ব লণ্ডনের মন্টিফিউরি সেন্টারের হলরুমে বিপুল সংখ্যক সুধীজনের উপস্থিতিতে অনুষ্টিত হয় এক মনোজ্ঞ প্রকাশনা উৎসব। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে বইটির মোড়ক উন্মোচন করেন নিসর্গবিদ ও পরিবেশ আন্দোলনের অগ্রসৈনিক প্রফেসর দ্বিজেন শর্মা। বইটি নিয়ে অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসাবে আলোচনা করেন লেখক, গবেষক ফারুক আহমদ। সাপ্তাহিক জনমত ২৪ জানুয়ারি ২০১৪ সংখ্যায় তার লেখা গ্রন্থ আলোচনা প্রকাশিত হয়। একটি নতুন ধারার বই হিসাবে তা পাঠক মহলে খুবই জনপ্রিয়তা লাভ করে এবং সমাদৃত ও আলোচিত হয়।
গ্রন্থখানি নিয়ে প্রখ্যাত সাংবাদিক, কলামিস্ট আব্দুল গাফ্ফার চৌধরিী লিখেছেনঃ ’’তার স্মৃতিকথা মূলক ‘চোখের দেখা প্রাণের কথা’ বইটি আমাকে আনন্দ বেদনায় অভিভূত করেছে। এরা অনেকে ধূসর অতীতে মিলিয়ে গেলেও আমার আপনজন এবং আমার শ্রদ্ধার আসনে চিরকালের জন্য আসীন। তাদের মধ্যে নোবেল বিজয়ী ড. অমর্ত্য সেনের অত্যন্ত প্রিয় মানুষ ময়নূর রহমান বাবুল। অমর্ত্য সেনকে আমরা বাইরে থেকে যতোটা জানি, তার চাইতে এই বিরাট ব্যক্তিত্বের ভেতরের মানুষটিকে আমাদের কাছে তুলে এনেছেন বাবুল। অমর্ত্য সেনকে নতুন করে আমাদের কাছে পরিচয় করিয়েছেন বাবুল।
অমর্ত্য সেন বেঁচে আছেন। কিন্তু যারা বেঁচে নেই, যারা আমারও এককালের অতি আপনজন, তাসাদ্দুক আহমদ, অধ্যাপক সরদার ফজলুল করিম, কমরেড বরুণ রায়, মোশতাক কোরেশী, ম. আ. মুক্তাদির এখন বেঁচে নেই বটে। কিন্তু বাবুলের স্মৃতিকথায় তারা যেন অতীতের ধূলা ঝেড়ে উঠে এসেছেন করোনা পীড়িত এই বিশ্বে। কথা বলেছেন বাবুলের ‘চোখের দেখা প্রাণের কথা’ বইয়ের প্রতিটি পাঠকের সঙ্গে।
কবি দিলওয়ার এখন সমাধিতে শুয়ে আছেন। তার বিপ্লবী কণ্ঠ বেজে চলেছে বইটির পতায় পাতায়। আর রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা, এখনো যার কণ্ঠে রবীন্দ্র নাথ বেঁচে আছেন, তার কণ্ঠে রবীন্দ্রনাথসহ শিল্পীর গানের অমৃত স্বাদ পেলাম বাবুলের বইটিতে। বন্যাকে নিয়ে লেখা নিবন্ধটি পড়তে পড়তে মনে হচ্ছিল, বন্যা ঢাকা থেকে আমার বাড়িতে চলে এসেছেন, গান গাইছেন ‘জীবন যখন শুকায়ে যায়, করুণা ধারায় এসো’।
’চোখের দেখা প্রাণের কথা’ বইটি লেখার জন্য ময়নূর রহমান বাবুলকে আমার অসংখ্য ধন্যবাদ। ভাবে, ভাষায় ও চরিত্র চিত্রণে বাবুল অসাধারণ শক্তির পরিচয় দিয়েছেন। স্মৃতিকথাকেও গল্পের জাদুরসে ভরে দিয়েছেন।” -চলবে…
Share