[যুক্তরাজ্যে বাংলা ভাষার সুবর্ণজয়ন্তী ৫০বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে পঠিত]

মায়ের অফুরন্ত ভালোবাসা,

বাবার স্নেহভরা হৃদয়,

শিক্ষকের অক্লান্ত পরিশ্রম,

প্রেমিকার অনুপ্রেরণায়,

জীবনের প্রতিষ্টা খুঁজে পেতে,

মানুষের মতো বাঁচতে শেখায় ।

দুঃখীর দুঃখ করে নিবারণ,

পথ ভ্রষ্টদের পথ দেখায় ।

অশান্ত মনে দেয় সান্ত্বনা,

দুর্বলকে যোগায় সাহস ।

অবচেতন মনে জাগ্রত করে,

প্রবল চেতনা শক্তি ।

স্নেহ ভালবাসায় আর অনুপ্রেরণায়,

মোদের বাঁচার পথ দেখায় ।

আজ আমি নিঃস্ব, বড় একাকী,

মনে অনেক ব্যাথা,

দাউ দাউ করে জ্বলছে অদৃশ্য অগ্নিশিখা,

বলা না বলা অনেক দুঃখ,

আমাকে নিঃশেষ করে চলেছে ।

পথহারা পথিকের ন্যায়,

এতা সেঁতা ঘুরে ফিরছি ।

আজ নিঃসঙ্গ একাকীত্ব চিত্তে,

বাংলা মায়ের কথা মনে পড়ছে ।

মা-বাবা স্বর্গবাসী,

নিঃস্ব এই পৃথিবী বড় অসহায়,

ভালোবাসা ফুরিয়ে গেছে,

তাই বাংলা থেকে –

আসে না কোনো চিঠি ।

শৈশবের চঞ্চলতা আর

কৈশোরের উন্মাদনা,

যৌবনের উদ্যমতা কি

আমরা ভুলিতে পারি ?

না, না, পারি না,

তাইতো আজ বাংলা মাকে,

বারবার মনে পড়ে ।

বাংলার কোলে জন্ম মোদের,

বাংলায় কথা বলি ।

বাংলায় গান গাই, মানুষের গান,

রং তুলিতে বাংলার ছবি আঁকি ।

কবির কবিতার ছন্দে,

পোড়া মাটির গন্ধ পাই ।

চিত্রকলায় শিল্প নৈপুণ্যে,

রূপসী বাংলা ফুটে ওঠে ।

শিল্পীর কন্ঠে ধ্বনিত হয়,

আমার সোনার বাংলা,

আমি তোমায় কত ভালোবাসি ।

১৭ই ফেবুয়ারী ২০০২

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here