গত রাত নয়টায় এ প্রতিবেদন তৈরির সময় পর্যন্ত বাইডেন ২৬৪ ইলেকটোরাল ভোট পেয়েছেন। ট্রাম্প আটকে আছেন ২১৪টিতে। তার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, যে পাঁচ রাজ্যে দুই নেতার ভাগ্য আটকে ছিল, তিনটিতেই তখন বাইডেন এগিয়ে। আরও বড় ব্যাপার হলো, যে পেনসিলভানিয়ায় ট্রাম্প প্রায় সাত লাখ ভোটে এগিয়ে ছিলেন, ডাকযোগে পাঠানো ভোট গণনায় পাশার দান পাল্টে গেছে সেখানেও, বাইডেন উল্টো সাড়ে পাঁচ হাজারের বেশি ভোট পেয়ে এগিয়ে গেছেন।
এখনো সেখানে দেড় লাখের মতো ভোট গণনা বাকি। এ রাজ্যে জয় পাওয়া মানে, ঝুলিতে আরও ২০টি ইলেকটোরাল ভোট যোগ হওয়া। এ ছাড়া জর্জিয়া (১৬টি) এবং নেভাদায় (৬টি) এগিয়ে আছেন সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট। এসব রাজ্যে জয় নিশ্চিত হলে বাইডেনের মোট ইলেকটোরাল ভোট গিয়ে দাঁড়াবে ৩০৬টি। ২০১৬ সালের নির্বাচনে এই সংখ্যক ভোটই পেয়েছিলেন ট্রাম্প।
জনপ্রিয় ভোটেও বাইডেন তার দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়েছেন। ট্রাম্পের তুলনায় প্রায় ৩৯ লাখ বেশি।
বাইডেনের জয়ে যুক্তরাষ্ট্র পাবে দেশটির প্রথম নারী ভাইস প্রেসিডেন্ট। ভারতীয় বংশোদ্ভূত কমলা হ্যারিস সে দেশের প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ এবং প্রথম এশীয়-মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট হবেন।
ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে, মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা শুক্রবার থেকেই ‘সম্ভাব্য প্রেসিডেন্ট’ বাইডেনের নিরাপত্তা জোরদার করছে। এ থেকেও বাইডেনের বিজয় অবধারিত, তা অনুমান করা যায়।
বাইডেন গতকাল টুইটারে বলেছেন, ‘কেউ আমাদের গণতন্ত্রকে আমাদের কাছে থেকে কেড়ে নিতে পারবে না। এখনো না, কখনো না।’
নির্বাচনের পরদিনই বাইডেন টুইট করেছিলেন, ‘আস্থা রাখুন। আমরাই এবার জিততে যাচ্ছি।’ তবে তহবিল ওঠানোর লক্ষ্যে তিনি গতকাল আরেক টুইটে বলেছেন, ‘লড়াই এখনো শেষ হয়নি। কারণ, ডোনাল্ড ট্রাম্প ভোট গণনা বন্ধে আদালতে দৌড়াচ্ছেন। আমরা ইতিহাসের সবচেয়ে স্বচ্ছ নির্বাচনী প্রচেষ্টা সফল করেছি। এখন জয়ের জন্য আপনাদের সাহায্য চাই।’
সব ভোট গণনা হলে পরে, যেমনটা এ ডেমোক্র্যাট প্রার্থীও অতিনিশ্চিত, বাইডেনের টুইটার পরিচিতিতে ‘সিনেটর, ভাইস প্রেসিডেন্ট’-এর বদলে হয়তো লেখা থাকবে, ‘যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট’।