প্রবাস বার্তা টোয়েন্টিফোর ডটকম নিউজ ডেস্ক :: মর্মান্তিক সড়ক দূর্ঘটনায় গত ১৩ই আগস্ট শনিবার রাত ১১টার দিকে শহরতলীর জালালপুর ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ জনাব আওলাদ হোসেন ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
প্রবাস বার্তা প্রতিনিধি জানান, তিনি কোথাও যাওয়ার জন্য সিলেট শহরের মেজর টিলার শ্যামলী এলাকার বাসার গলি থেকে বেরিয়ে সিলেট তামাবিল সড়কে যান। সেখানে রাত সাড়ে ১০টার দিকে রাস্তা পারাপারের সময় দ্রুতগামী একটি মোটর সাইকেল এসে তাঁর পা ভেঙ্গে দেয়। একই সময় আরেকটি লেগুনা এসে তার উপর দিয়ে চলে যায়। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে গেলে কিছু সময় পর চিকিৎসকরা মৃত ঘোষনা করেন।
মোহাম্মদ আওলাদ হোসেন টাইগার্স ইন্টারনেশনাল এসোসিয়েশন টি আই এর জালালপুর সিলেট ইউনিটের একজন পরিচালক ছিলেন এবং কভীড কালীন সময়ে তার ব্যক্তিগত উদ্যোগে এবং যুক্তরাজ্য সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সহযোগিতায় স্থানীয় গরিব জনসাধারণের মধ্যে নগদ অর্থ বিতরণ করেছিলেন। অতি সম্প্রতি জালালপুর ডিগ্রী কলেজ প্রাঙ্গনে মসজিদ নির্মাণের জন্য অর্থ সংগ্রহের জন্য কঠোর পরিশ্রম করে মসজিদের কাজ শুরু করেছিলেন। তার এই উদ্যোগে স্বাগত জানিয়ে তার অসমাপ্ত কাজকে সমাপ্ত করার জন্য সকল সহকর্মী বন্ধু-বান্ধব ও এলাকার জনসাধারণকে এগিয়ে আসার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানান।
টি আই এর পরিচালক ম আ মোশতাক বলেন, তার মৃত্যুতে সংগঠনের পরিচালকদের মধ্যে এক শোকের ছায়া নেমে এসেছে এবং যে শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে তা অপূরণীয়। আওলাদ হোসেনের মত আরেক জন কর্মঠ যোগ্য ব্যক্তিত্ব কোজে পাওয়া কঠিন। টি আই এর সহকর্মী আওলাদ হোসেনের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন সংগঠনের পরিচালক বৃন্দ তারা হলেন, শামসুদ্দিন আহমেদ এম বি ই, মনসুর আহমেদ, সুহেল আহমেদ, শাম্মী আক্তার, সীতাব আলী, ইফতেখার আলম মুকুল, ফারুক আলী, হামিদুল কিবরিয়া চৌধুরী আজহার, মোঃ আব্দুল মুকিত চৌধুরী, মোহিত খান এনাম, রফিকুল হক, মোঃ বেলায়েত হোসেন, মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন, গোলাম কিবরিয়া, আব্দুল মালিক, ম আ মোশতাক, জামিলুর রহমান, আব্দুল কাইয়ুম, মোহাম্মদ শাহজাহান, মোঃ সামাউন, আবুল হাসনাত শামীম, মোহাম্মদ শামীম, খোকন মাসকুব, রুবেল সিদ্দিক, জামাল উদ্দিন, মোঃ আহসানুজ্জামান, ফেরদৌসি বেগম আলী, রোজি চৌধুরী, আফীয়া মিয়া, নাছীমা খাতুন প্রমুখ।
শোক বার্তায় পরিচালক বৃন্দ মরহুমের বিদেহী আত্মার শান্তি ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
অপর এক শোক বার্তায় এম সি কলেজের সহপাঠিগন গভীর শোক প্রকাশ করে মরহুমের আত্মার শান্তি ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
উল্লেখ্য মোঃ আওলাদ হোসেন ১৯৮৩-৮৪ ব্যাচের এম সি কলেজের একজন ছাত্র ছিলেন সেই হিসাবে কলেজের সহপাঠী বন্ধু-বান্ধবের পক্ষে শোক জানিয়েছেন ওসমানী স্মৃতি পরিষদের মহাসচিব ও সম্পাদক ও প্রকাশক এম এ রকিব খান, অন্মেসা স্কুল এন্ড কলেজ এর ভাইস প্রিন্সিপাল শামসুদ্দোহা ফজল সিদ্দিকী, মুজাহিদুল হক সিদ্দিকী, আব্দুর রহমান রুয়েব, তালহা জুনেদ, মুজিবুর রহমান শাহিন, আব্দুল মালিক খোকন, আব্দুর রহিম, আব্দুল হালিম চৌধুরী, আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী, আব্দুল কাউয়ুম কামাল, আব্দুল হালিম চৌধুরী মিলন, আব্দুর রব খান নেয়র, রুম্মান হায়দার, আবুল কালাম, তাহের আহমেদ, শাহাবুদ্দিন মামুন, আসিদ আলী, সোয়েব আলী, আকবর হোসেন, ফয়সল ইউসুফ, ফয়জুর রহমান, মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী, আবু হানিফ, খলিলুর রহমান, আনিসুর রহমান চৌধুরী লিটু, মোহসিন আহমেদ চৌধুরী, আব্দুল মুনিম, মোঃ নুরুজ্জামান, আব্দুর রব, কায়সার আহমেদ, বদরুল আলম চৌধুরী, ফাতেমা আহমেদ, ফয়জুর রহমান চৌধুরী, হিফজুর রহমান, হুমায়ুন কবীর, সায়েক চৌধুরী, এনামুল হক চৌধুরী প্রমুখ।
বৃহত্তর সিলেট গণদাবী পরিষদের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা কায়েস আহমেদ শিকদার এক শোক বার্তায় মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেছেন এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন। জালালপুর ডিগ্রী কলেজে কর্মরত অবস্থায় তিনি অত্যন্ত দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করায় জালালপুরবাসীর পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং তার অসমাপ্ত কাজকে সম্পাদন করার জন্য এলাকাবাসী প্রতি আহ্বান জানান।
উল্লেখ্য মোঃ আওলাদ হোসেন জালালপুর ডিগ্রি কলেজের একজন দক্ষ অধ্যক্ষ এবং একজন ভালো মনের মানুষ ছিলেন । উনাকে আল্লাহ পাক যেন জান্নাতুল ফেরদৌস দান করেন। এদিকে অধ্যক্ষ আওলাদ হোসেনের মৃত্যতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। বিশেষ করে জালালপুরে তিনি সর্বমহলে প্রিয় ব্যক্তিত্ব হিসেবে নিজের অবস্থান তৈরি করতে সক্ষম হয়েছিলেন।
গত ১৪ই আগস্ট রবিবার মরহুমের প্রথম নামাজে জানাজা মেজরটিলা মসজিদে ও দ্বিতীয় জানাযা জালালপুর ডিগ্রী কলেজ প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হয়। পরে তাকে তার গ্রামের বাড়িতে সমাহিত করা হয়। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী দুই কন্যা সহ অনেক আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধুবান্ধব রেখে গেছেন ।