প্রবাস বার্তা টোয়েন্টিফোর ডটকম নিউজ ডেস্ক :: কভিড-১৯ মহামারী-পরবর্তী সময়ে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে বড় ধরনের প্রভাব ফেলে মূল্যস্ফীতি। এর কারণে ভোক্তা পর্যায়ে ব্যয় উল্লেখযোগ্য হারে কমতে শুরু করে এবং বিভিন্ন খাতের প্রবৃদ্ধিতে বিরূপ প্রভাব পড়তে শুরু করে। যার অংশ হিসেবে যুক্তরাজ্যের রেস্টুরেন্ট খাতও লোকসানের মধ্যে রয়েছে। সম্প্রতি ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
কিন্তু কভিড-১৯ মহামারী-পরবর্তী সময়ে ব্যবসায়িক কার্যক্রম পুনরুদ্ধার হওয়ার আগেই নতুন সমস্যা হয়ে দাঁড়ায় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। বিভিন্ন পণ্যের সরবরাহ বাধাগ্রস্ত হওয়ায় মূল্যস্ফীতির হার বাড়তে থাকে। এটি সাধারণ অধিবাসীদের জীবনযাপন ব্যয় বাড়িয়ে দিয়েছে।
ডিভাইন বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতি খুবই কঠিন। প্রতিদিন কাজে আসতে হচ্ছে মূলত টিকে থাকা ও চাকরি বাঁচানোর জন্য।’
যুক্তরাজ্যের ৪০ শতাংশের বেশি রেস্টুরেন্টের মালিক একই ধরনের সংগ্রামের কথা জানিয়েছে। পরিষেবাসংক্রান্ত সংস্থা ইউকেহসপিটালিটির তথ্যানুযায়ী, কভিড-১৯ মহামারী-পরবর্তী সময়ে মূল্যস্ফীতির প্রভাবে এ খাতসংশ্লিষ্টরা ব্রেক ইভেন পয়েন্টের নিচে কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
সংস্থাটির পরিসংখ্যান অনুসারে, কভিড-১৯ মহামারী থেকে শুরু করে এর পরবর্তী সময় পর্যন্ত রেস্টুরেন্ট খাতে ৩০ শতাংশের বেশি ব্যবসা বন্ধ হয়ে গেছে। ২০২৩ সালেই শুধু ১ হাজার ১৬৯ রেস্টুরেন্ট বন্ধ হয়ে গেছে। গড় হিসাবে প্রতিদিন বন্ধ হয়ে যাওয়ার রেস্টুরেন্টের সংখ্যা তিন। ইউকেহসপিটালিটির প্রধান নির্বাহী কেট নিকোলস জানান, রেস্টুরেন্ট খাতে বর্তমানে যে আয় হচ্ছে, সেটি সামগ্রিক ব্যয় পরিচালনার জন্য যথেষ্ট নয়।
বৈশ্বিক পর্যায়ে ১২ মাসে জ্বালানি পণ্যের দাম সর্বনিম্নে নেমে এলেও রেস্টুরেন্টগুলোকে এখন খাদ্যদ্রব্যের উচ্চমূল্যের ক্ষতি বয়ে বেড়াতে হচ্ছে। এছাড়া এ খাতে কর্মী সংকটও বিরূপ প্রভাব ফেলছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, রেস্টুরেন্ট খাতে যে সংকটাবস্থা চলছে, তা সব ক্ষেত্রে ছড়ায়নি। বাজেট ও হাই-এন্ড রেস্টুরেন্টগুলোয় ভোক্তা কমলেও তাদের গ্রহণযোগ্যতা বা আবেদন কমেনি। এদিক থেকে মিড মার্কেট বা মধ্যম অবস্থানে থাকা ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানান অডিট সংস্থা আরএসএম ইউকের লেইজার অ্যান্ড হসপিটালিটি বিভাগের প্রধান পল নিউম্যান।
উদাহরণস্বরূপ লন্ডনের অন্যতম স্টেকহাউজ চেইন হকসমোরের কথা বলা যায়। ২০২৩ সালে এর টার্নওভার ২০ শতাংশ বেড়ে ৯ কোটি পাউন্ড ছাড়িয়ে গেছে। এ বিষয়ে কোম্পানির প্রধান নির্বাহী উইল বেকেট জানান, গ্রাহকদের ওপর চাপিয়ে দেয়া ছাড়াও আমাদের আরো অনেক কিছু করার সুযোগ রয়েছে। তবে চলতি বছর যুক্তরাজ্যের রেস্টুরেন্ট খাত ঘুরে দাঁড়ানোর বিষয়ে আশা প্রকাশ করেন তিনি।