লন্ডনের রাস্তায় দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হওয়া ও প্রাণহানি ২০৪১ সাল নাগাদ শুন্যতে নামিয়ে আনার লক্ষ্যে মেয়র অফ লন্ডন এবং ট্রান্সপোর্ট ফর লন্ডন কর্তৃপক্ষ মিলে একটি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে। সর্বোচ্চ গতি সীমা কমিয়ে আনা এই লক্ষ্য অর্জনেরই একটি পদক্ষেপ। কিন্তু লন্ডন মেয়রের এই নীতি বাস্তবায়নে অনেকেই অসন্তুষ্ট। তাঁরা বলছেন, যানবাহন ধীর গতিতে চলার কারণে নগরীতে যানজট বেড়ে যাবে।
লন্ডনের অনেক রাস্তায় আগে থেকেই ২০ মাইলের স্পীড লিমিট কার্যকর আছে। তবে আরও অনেক রাস্তাকে এই স্পীড লিমিটের আওতায় নিয়ে আসার কাজ ত্বরান্বিত করেছে ট্রান্সপোর্ট ফর লন্ডন। আগামী বছর নাগাদ নগরীর ১৩৭ মাইল রাস্তাকে কম গতি সীমার আওতায় আনা হবে।
গাড়ি চালক, সাইকেল চালক থেকে শুরু করে পথচারীরাও চায় নিরাপদ সড়ক এবং দুর্ঘটনামুক্ত রাস্তা। কিন্তু ধীর গতির রাস্তা নিয়ে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন লন্ডন মেয়র। সাধারণ জনগণের সমর্থন আদায় করতে বেগ পেতে হচ্ছে লন্ডন মেয়র অফিসকে।
৫ বছর ধরে লন্ডনের রাস্তায় ক্যাব চালান লিসা। ধীর গতির এই রাস্তার প্রভাব তিনিও অনুভব করছেন।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে লন্ডন নগরীতে গাড়ি চালিয়ে এক স্থান থেকে আরেক স্থানে পৌঁছার বিষয়টিতে অনেক পরিবর্তন হয়েছে। কারণ, কোনো কোনো স্থানকে লো-ট্রাফিক নেইবারহুড করে দেয়া হয়েছে, কোথাও সাইকেল লেইনের জন্য জায়গা করে দেয়া হয়েছে এবং লো-এমিশন জোন কার্যকর করা হয়েছে। সবার পছন্দ হোক আর নাই হোক, নতুন করে বিস্তৃত করা হচ্ছে ২০ মাইল স্পীড লিমিটের রাস্তা।