প্রবাস বার্তা টোয়েন্টিফোর ডটকম নিউজ ডেস্ক :: ভর্তিতে অনিয়ম, শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতিসহ নানা কারণে আলোচনায় থাকা মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজকে নিয়ে এবার নতুন ইস্যুতে সমালোচনা হচ্ছে। স্কুল পর্যায়ের ছাত্র ও ছাত্রীদের ড্রেস কোড পরিবর্তনের প্রতিবাদে এবার আন্দোলন করছেন প্রাচীন এই প্রতিষ্ঠানের অভিভাবকরা। চলতি বছরের শুরু থেকে ছাত্রীদের ওড়না এবং ছাত্রদের টুপি পরায় নিষেধাজ্ঞা জারি করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। শুধু শিক্ষার্থীই নয়, শিক্ষকদের মধ্যেও আগে যারা পাঞ্জাবি পড়ে স্কুলে আসতেন তাদেরকে এখন পাঞ্জাবি পড়তে নিষেধ করা হয়েছে।

তবে প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ শাহান আরা বেগমের দাবি, ‘শিক্ষার্থীদের পোশাকের সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্য এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সবাই ওড়না পরেও না। তাই ওড়নার পরিবর্তে হিজাব রাখা হয়েছে। কিন্তু ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে কী কারণে ছাত্রদের টুপি পড়তে নিষেধাঙ্গা জারি করা হয়েছিলো তা স্পষ্ট জবাব দিতে পারেননি অধ্যক্ষ শাহান আরা বেগম।

এর আগে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্রীদের অন্যান্য পোশাকের সঙ্গে স্কার্ফের পরিবর্তে ওড়না বাধ্যতামূলক ছিল। নতুন ড্রেস কোডে ওড়নার পড়াতের নিষেধাঙ্গা জারি ও ওড়নার পরিবর্তে হিজাবকে ইচ্ছাধীন রাখা হয়েছে ছাত্রীদের জন্য।

অন্যদিকে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির ছাত্রীদের জন্য আগে ক্রস ওড়না বাধ্যতামূলক থাকলেও নতুন সিদ্ধান্তে ছয় ইঞ্চির ক্রস বেল্ট ওড়না ও মাথায় হিজাব ইচ্ছাধীন করা হয়েছে। এতে কোনো ছাত্রী ওড়না পড়তে পারবে না। চাইলে ছয় ইঞ্চির ক্রস বেল্ট ওড়না ও পড়তে পারবে। অপরদিকে ছাত্রদের জন্য টুপির উপর নিষেধাঙ্গা জারি করা হয়েছে। টুপি বাদ দিয়ে সাদা শার্ট ও নেভি ব্লু প্যান্ট এবং সাদা জুতা ও মোজা পরার বাধ্যতামূলক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

নতুন এই সিদ্ধান্ত আসার পর থেকে এর প্রতিবাদে কর্মসূচি পালন করছেন মতিঝিল ও বনশ্রী শাখার শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা। মেয়েদের জন্য ওড়না এবং ছেলেদের জন্য টুপি পড়ার বিধান বাতিল করে দেওয়ায় এই ক্ষোভের তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন অভিভাবকরা। বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) সকালে প্রতিষ্ঠানটির বনশ্রী ক্যাম্পাসের সামনে কয়েকশ অভিভাবকরা জড়ো হয়ে বিক্ষোভ প্রকাশ করেন। এছাড়া প্রতিষ্ঠানটির মতিঝিল ক্যাম্পাসেও বিক্ষোভ হয়েছে। ইতিমধ্যে তারা কর্তৃপক্ষকে আলটিমেটামও দিয়েছেন। ৩১ জানুয়ারির মধ্যে এর সমাধান না করলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।

অধ্যক্ষের যত যুক্তি

ছেলেদের টুপি ঐচ্ছিক করার বিষয়ে অধ্যক্ষ শাহান আরা বেগসের দাবি, ‘মুসলমানদের বাইরেও প্রতিষ্ঠানে অন্য ধর্মালম্বী ছাত্রছাত্রীরা পড়ালেখা করে। তারা তো টুপি পরে না। তাই একসঙ্গে দেখতেও অন্যরকম লাগে। এ কারণে এমন সিদ্ধান্ত।

ওড়না কেউ পরতে চাইলে পরতে পারবে- অধ্যক্ষ এমন দাবি করলেও অভিভাবকরা বলছেন, নতুন ড্রেস কোডের বাইরে ওড়না পরে ক্লাসে গেলে অনেককে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। তবে অধ্যক্ষ বলছেন, এটা মিথ্যা কথা। এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here