হে দেশনেত্রী, বঙ্গ জননী,
তুমি আপোষহীন দেশদরদী,
তুমি নন্দিত আজ,
বাংলার প্রধানমন্ত্রী ।
তোমার ডাকে সাড়া দিয়ে,
আন্দোলনের স্রোতে ভেসে,
তুমি হয়েছো মহীয়ান ।
তাহলে করোনা কেন আত্মদান ।
স্বৈরাচার হটিয়ে নির্বাচিত হলে,
কোটি কোটি মানুষের রায় পেলে,
দায়িত্ব নিলে দেশ চালাবার,
শপথ নিলে দৃঢ় চিত্তে,
দেশ থেকে দুর্নীতি তাড়াবে,
দুঃশাসনের সকল শিকল ভেঙ্গে ফেলে,
এক দুর্জয় শান্তির প্রতিশ্রুতি নিয়ে,
বাংলার মসনদে এলে ।
আজও বাংলায় শান্তি আসেনি
ভয়ার্ত মানুষের ক্রুন্দন শুনি ।
চারিদিকে শুধু হাহাকার,
দুর্নীতিতে দেশ ছেয়ে গেছে,
অভাব-অনটন লেগেই আছে,
তা কি দৃষ্টিগোচর হয় না তোমার ।
তোমার হুকুমে দেশ চলে,
তাহলে হটাও না অন্যায় ।
তোমার চারিদিকে আমলা,
তোষামোদী করে মন্ত্রীরা ।
প্রশাসনে দুঃশাসন,
খুনী-মাস্তানদের অবাধ বিচরণ,
যারা দেশটাকে ডুবাতে চায় ।
ঐসব বর্বরদের জব্দ করনা কেন ?
অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে,
ডাক দাওনা একবার ।
আজ ভয় কিসের ?
কোন ভয় নেই ।
দেশ আজ তোমার দিকে চেয়ে আছে,
একটু শান্তি এনে দাওনা ।
বেঈমানদের পিঠে ছুরি মেরে,
সবুজ বাংলা গড়না ।
দুর্নীতি-দুঃশাসনের বিরুদ্ধে,
আরেকটি সংগ্রামের ডাক দাওনা ।
লাখো লাখো জিয়ার সৈনিক,
আজ তোমার পাশে ।
তাহলে কিসের ভয় ?
কোন ভয় নেই ।
শহীদ জিয়ার লালিত স্বপ্ন,
একটি সুখী সুন্দর বাংলাদেশ ।
দেশটাকে গড়ার জন্য,
মোদের নির্দেশ দাও ।
আর কতকাল অমনি যাবে,
তুমি ক্লান্ত হবার আগে,
এই দেশটাকে গড়ে যাওনা ।
এখনি সময়, আর দেরী নয়,
একটি বিপ্লবী ডাকের প্রতীক্ষায়,
আজও বসে আছি ।
তাহলে একাগ্রচিত্তে –
মোর কামনা গুলি মেনে নাওনা ।
১৯৯১ সাল