সুপার টিউসডে নামে পরিচিত এই ভোটে দুই প্রার্থী বড় ব্যবধানে জয়লাভ করায় আগামী নভেম্বরে ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের রিম্যাচ হওয়া প্রায় নিশ্চিত—আবারও একে অপরের বিরুদ্ধে লড়বেন বাইডেন ও ট্রাম্প।
ক্যালিফোর্নিয়া ও টেক্সাসের মতো গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গরাজ্যসহ মোট ১২টি অঙ্গরাজ্যে জিতেছেন ট্রাম্প। তার একমাত্র উল্লেখযোগ্য প্রতিদ্বন্দ্বী নর্থ ক্যারোলাইনার সাবেক গভর্নর ও জাতিসংঘের সাবেক রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালি শুধু ভারমন্টে জিতেছেন।
১৩টি অঙ্গরাজ্যে ডেমোক্রেটিক পার্টির বাছাইপর্বে জো বাইডেন জয়ী হয়েছেন। এ ছাড়া তিনি আইওয়া ককাসে জয়ী হয়েছেন।
ট্রাম্প ও বাইডেন প্রাইমারিতে বিজয় নিশ্চিত হওয়ার পর একে অপরের সমালোচনা করেছেন। ট্রাম্প বলেন, ‘৫ নভেম্বরে আমাদের দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিন হতে যাচ্ছে।’ বাইডেন এক বিবৃতিতে আবারও ট্রাম্পকে মার্কিন গণতন্ত্রের প্রতি হুমকি হিসেবে অভিহিত করেন।
১৯৫৬ সালের পর এবারই প্রথম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ‘রিম্যাচ’ হতে যাচ্ছে। তবে জনমত জরিপের ফল অনুযায়ী, বাইডেন (৮১) ও ট্রাম্পের (৭৭) মধ্যে এই রিম্যাচে বেশিরভাগ মার্কিনীদের আগ্রহ কম।
প্রার্থী হিসেবে ট্রাম্পের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা হল একাধিক ফৌজদারি মামলা। এখনো তার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলার কার্যক্রম চলছে এবং আগামীতে আরও কয়েকটি মামলার তদন্ত শুরু হবে।
তবে মার্কিন আইনও অনুযায়ী, কারাবন্দি থাকলেও নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
বাইডেনের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা হল তার বয়স। ৮১ বছর বয়সে ইতোমধ্যে তিনি মার্কিন ইতিহাসে সবচেয়ে বর্ষীয়ান প্রেসিডেন্ট হিসেবে ওভাল অফিসের কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।