প্রবাস বার্তা টোয়েন্টিফোর ডটকম নিউজ ডেস্ক :: নাইজেরিয়ায় পুলিশের নিপীড়ন-নির্যাতনের বিরুদ্ধে জনরোষ এমন এক জোরালো আন্দোলন তৈরি করেছে যা সরকারের ক্ষমতার ভীত নড়িয়ে দিয়েছে।
কিন্তু দু সপ্তাহ ধরে চলা প্রবল এই জনরোষের পরিণতি কি? বিশ্লেষণ করেছেন বিবিসির হাউসা ভাষা বিভাগের সম্পাদক আলিউ টানকো: পুলিশের নিপীড়িনের বিরুদ্ধে রাস্তায় বিক্ষোভ এবং সেইসাথে সোশাল মিডিয়ায় সমান্তরাল আন্দোলনে তরুণ প্রজন্ম যেভাবে সম্পৃক্ত হয়েছে তা আফ্রিকার সবচেয়ে জনবহুল এই দেশে নজিরবিহীন।

ক্ষমতাসীনদের আচরণ বিনাবাক্যে মেনে নেওয়ার প্রচলিত সংস্কৃতি ভেঙ্গে পড়েছে নাইজেরিয়ায়।

ডাকাতি-রাহাজানি বন্ধে সৃষ্ট সার্স নামে পুলিশের বিশেষ বাহিনীকে ভেঙ্গে দেওয়ার দাবিতে এই আন্দোলনে গতকাল পর্যন্ত সরকারি হিসাবেই মারা গেছে ৬৯ জন।

‘#এন্ড সার্স‘ (সার্স ভেঙ্গে দাও) হ্যাশট্যাগ যেমনি সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে, সেইসাথে ক্ষমতাসীনদের কর্তৃত্ব-নির্দেশে বুড়ো আঙ্গুল দেখানোর সাহস আগুনের মত ছড়িয়ে পড়েছে নাইজেরিয়ায়।

রাজধানী লেগোসের অত্যন্ত সম্মানিত রাজার (নাইজেরীয় ভাষায় ‘ওবা’) প্রাসাদ ভাঙচুরকে জনরোষের একটি মাপকাঠি হিসাবে দেখা হচ্ছে। আলঙ্কারিক হলেও লেগোসের ওবা বা রাজা এবং তার প্রাসাদ নাইজেরীয়দের কাছে বহু যুগ ধরে অত্যন্ত সম্মানের। তরুণ-যুবকরা সেই প্রাসাদে ঢুকে রাজার সিংহাসন উপড়ে ফেলে তছনছ করেছে। রাজার জিনিসপত্র লুট করেছে, এবং প্রাসাদের পুকুরে তারা সাঁতার কেটেছে।

পুলিশের বিতর্কিত এবং ঘৃণিত একটি বিশেষ স্কোয়াড ভেঙ্গে দেওয়ার দাবিতে শুরু হয়েছিল যে বিক্ষোভ, তা এখন নাইজেরিয়ার ক্ষমতাসীনদের বিরুদ্ধে ক্ষোভে রূপ নিয়েছে। নাইজেরীয় তরুণ প্রজন্ম এখন রাষ্ট্রের ক্ষমতার কাঠামোর প্রাতিষ্ঠানিক পরিবর্তন চাইছে।

‘বারুদের ডিপো‘

আফ্রিকার সবচেয়ে জনবহুল দেশের তরুণ প্রজন্ম সম্পর্কে সাবেক প্রেসিডেন্ট ওলুসেগুন ওবাসাঞ্জো ২০১৭ সালে মন্তব্য করেছিলেন, “আমরা একটি বারুদের ডিপোর ওপর বসে রয়েছি।”

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here