
প্রবাস বার্তা টোয়েন্টিফোর ডটকম নিউজ ডেস্ক :: চট্টগ্রাম কৃষি অঞ্চলে সমাপ্ত আমন মৌসুমে ধান-চাল ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্র পূরণ করতে পারেনি আঞ্চলিক খাদ্য অধিদপ্তর। চট্টগ্রাম অঞ্চলে ৪৫ হাজার ১৮৮ টন সেদ্ধ চাল, ৩৮ হাজার ৪৬ টন আতপ চাল এবং ২৭ হাজার ৭৩৫ টন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল। বারবার তাগাদা দেয়ার পরও লক্ষ্যমাত্রার শতভাগ সংগ্রহ করতে ব্যর্থ হয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
চট্টগ্রাম জেলায় সেদ্ধ চাল সংগ্রহ হয়েছে ৭১১ টন, আতপ চাল ৬ হাজার ১৭৩ এবং ধান সংগ্রহ হয়েছে ৭১ টন। কক্সবাজারে আতপ চাল সংগ্রহ হয়েছে ২ হাজার ৮৯৪ টন। রাঙ্গামাটিতে আতপ চাল সংগ্রহ হয়েছে ৫৭৮ টন। খাগড়াছড়িতে সংগ্রহ হয়েছে ১ হাজার ৫৭৮ এবং ধান সংগ্রহ হয়েছে মাত্র তিন টন। বান্দরবানে আতপ চাল সংগ্রহ হয়েছে ৭৫৮ টন। নোয়াখালীতে সেদ্ধ ৭ হাজার ৭৬৪ টন, আতপ চাল ৩২০ ও ধান সংগ্রহ হয়েছে ৭০৪ টন। লক্ষ্মীপুরে সেদ্ধ চাল ২ হাজার ৫২২ এবং ধান সংগ্রহ হয়েছে ৮০৫ টন।
এছাড়া ফেনীতে সেদ্ধ চাল ৮২৩ এবং ধান সংগ্রহ হয়েছে ৪৫ টন। কুমিল্লায় সেদ্ধ চাল ১০ হাজার ৭৩০, আতপ চাল ৫ হাজার ১৩২ ও ধান সংগ্রহ হয়েছে ৪৯৯ টন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সেদ্ধ ১৯ হাজার ৫৯, আতপ চাল ৬ হাজার ৮৫ এবং ধান সংগ্রহ হয়েছে ৪৬২ টন। চাঁদপুরে সেদ্ধ ১ হাজার ৯৯৬ ও আতপ চাল সংগ্রহ হয়েছে ৩২০ টন।
খাদ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, সরকারের দেয়া লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ধান বা চাল কেনার জন্য মাঠ পর্যায়ে কাজ করছেন তারা। ধান-চাল সরবরাহের দায়িত্ব চালকল মালিকদের। সরকারিভাবে চাল কিনতে হলে স্বাভাবিক বাজারের থেকে একটু ভিন্নভাবে ধান শুকনো, ভেজা কিনা, চিটা কিংবা চাল ভাঙা আছে কিনা এসব বিবেচনা করে সংগ্রহ করতে হয়। যারা বিক্রি করবেন তারা অনেক হিসাব-নিকাশ করে বিক্রি করতে আসেন। বাজারে ধান বা চাল বিক্রি করলে সঙ্গে টাকা পাওয়া গেলেও সরকারিতে কিছুটা সময়ক্ষেপণ হয়। যাদের টাকা দ্রুত দরকার তারা বাজারে বা আড়তে গিয়ে বিক্রি করেন। বিভিন্ন সংকটের কারণে সরকারের দেয়া লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হলেও কাছাকাছি হয়েছে।
চট্টগ্রাম আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সূত্রে বলেন, ‘চট্টগ্রামসহ সারা দেশে ২৮ ফেব্রুয়ারি ধান-চাল ক্রয় শেষ করেছে সরকার। আতপ চাল সংগ্রহের জন্য মার্চের ১০ তারিখ পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়েছিল। তাতে সমাপ্ত আমন মৌসুমের সরকারিভাবে ধান-চাল ক্রয়ের সময়সীমা শেষ হয়েছে। বিগত বছরগুলোর তুলনায় এ মৌসুমে ধান-চাল সংগ্রহ বেশি হয়েছে। আমাদের কাছে ধান-চাল সরবরাহ করার জন্য মিল মালিকদের চুক্তি হয়েছিল। তাদের চুক্তি অনুয়ায়ী তারা সরবরাহ করেছে কিনা সে তালিকা করা হচ্ছে। যারা সরবরাহ করতে পারেননি তাদের জামানত বাজেয়াপ্তসহ আগামী মৌসুমে নতুন চুক্তিতে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হবে কিনা সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।’