প্রবাস বার্তা টোয়েন্টিফোর ডটকম নিউজ ডেস্ক ::
জাহাজের ধাক্কায় মঙ্গলবার ভোরে যুক্তরাষ্ট্রের বাল্টিমোরের একটি সেতু ভেঙ্গে যাওয়ার পর সেখানকার বন্দরের বেশিভাগ অংশ বন্ধ আছে। ফলে কয়েক মিলিয়ন টন কয়লা, শত শত গাড়ি এবং কাঠ ও জিপসামের চালান আটকে গেছে।

দুর্ঘটনার দিন প্রায় ৪০টি জাহাজ বাল্টিমোর বন্দর ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল। আরো কিছু জাহাজ বন্দরে নোঙর করার কথা ছিল। কিন্তু নদীতে ভেঙ্গে যাওয়া সেতুর অংশ পড়ে থাকায় জাহাজ চলাচল সম্ভব হচ্ছে না। দুর্ঘটনার কারণ জানতে শুরু হওয়া তদন্ত শেষে জাহাজ চলাচলের পথ পরিষ্কার করার পর বন্দরের কার্যক্রম পুরোপুরি চালু হতে পারে। এ জন্য কত সময় লাগতে পারে সে ব্যাপারে এখনো কেউ কিছু জানাতে পারেনি।

যুক্তরাষ্ট্রের পরিবহনমন্ত্রী পিট বুটিগিগ বলেন, বাল্টিমোর বন্দর বন্ধ থাকায় ‘সরবরাহ ব্যবস্থার ওপর বড় ও দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব’ পড়তে পারে।

তিনি বলেন, ‘চ্যানেল পরিষ্কার করতে ও বন্দর খুলে দিতে কত দিন লাগতে পারে তা বলার সময় এখনো আসেনি।’

গাড়ি ও হালকা ট্রাক রফতানি-আমদানির জন্য বাল্টিমোর বন্দরটি গুরুত্বপূর্ণ।

বাল্টিমোর এলাকায় ইউরোপীয় গাড়ি নির্মাতা মার্সেডিজ, ফল্কসভাগেন ও বিএমডব্লিউর বড় উপস্থিতি রয়েছে।

জার্মান গাড়ি নির্মাতা বিএমডব্লিউর এক মুখপাত্র রয়টার্সকে জানান, অল্পসময়ের জন্য কিছু বিলম্ব ছাড়া শিগগিরই কোনো প্রভাব পড়বে বলে তারা আশঙ্কা করছেন না। বন্দরের গাড়ি টার্মিনালটি সেতুটির সামনে অবস্থিত হওয়ায় এখনো সেখানে যাওয়া-আসা করা যাচ্ছে বলে জানান তিনি।

তবে মার্কিন গাড়ি নির্মাতা ফোর্ড জানিয়েছে, তাদের কিছু কাজ অন্য বন্দরে সরিয়ে নিতে হবে। সে কারণে সরবরাহ ব্যবস্থার ওপর প্রভাব পড়বে।

লজিস্টিক প্ল্যাটফর্ম ফ্লেক্সপোর্টের সিইও রায়ান পিটারসন বলেন, ২০২৩ সালে মাত্র ১১ লাখ কন্টেনার হ্যান্ডলিং করেছে বাল্টিমোর বন্দর। ফলে লোহিত সাগরে হাউছি আক্রমণের কারণে যত ক্ষতি হচ্ছে বাল্টিমোর বন্দর বন্ধ থাকায় ক্ষতি সে তুলনায় অনেক কম হবে।

এদিকে ভেঙ্গে পড়া ফ্রান্সির স্কট কি সেতুটি তৈরিতে ৫০০ মিলিয়ন থেকে এক দশমিক দুই বিলিয়ন ডলার খরচ হতে পারে। সময় লাগতে পারে অন্তত দু’বছর। প্রতিদিন প্রায় ৩০ হাজার পরিবহন সেতুটি ব্যবহার করতো।

সিঙ্গাপুরের পতাকাবাহী একটি জাহাজ সেতুটির এক পিলারে ধাক্কা দিলে সেতুটি ভেঙ্গে যায়। এতে অন্তত ছয়জন নিহত হয়েছেন। তারা সেতুটি মেরামতের কাজ করছিলেন।

প্রায় পাঁচ হাজার কন্টেনার নিয়ে জাহাজটি কলম্বো যাচ্ছিল।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here