প্রবাস বার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম বিশেষ প্রতিনিধি আব্দুল হামিদ খান সুমেদ:-সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলা দৌলতপুর ইউনিয়নে প্রায় ১ কোটি ৬৩ লাখ টাকা ব্যয়ে দৌলতপুর-হাসনাজি-পাড়ুয়া গ্রাম হইতে মিরেরচর পর্যন্ত দুই কিলোমিটারের বেশি রাস্তা পাকাকরণ কাজ শুরু হয়েছে।রাস্তার কাজ সম্পন্ন হলে বিশ্বনাথ উপজেলা সদরের সাথে দৌলতপুর ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রামের যোগাযোগের ব্যবস্থার উন্নয়নসহ সময় কমে আসবে।

এই মহতি কাজ শুরু হওয়ায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে গত বুধবার সকালে। দৌলতপুর-হাসনাজি-পাড়ুয়া গ্রামবাসীর উদ্যোগে এ দোয়া মাহফিলে এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
দোয়া মাহফিল পূর্ব সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দৌলতপুর গ্রামের কৃতি সন্তান সাবেক জজ যুক্তরাজ্য প্রবাসী আবদুল মতিন। এসময় তিনি তার সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন, দেশ-বিদেশের অনেকের কষ্ঠের ফলে আজ এ রাস্তার কাজ শুরু হয়েছে। যারা এ রাস্তা করার জন্য সহযোগিতা করেছেন তাদের প্রতি তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজের সাবেক সভাপতি, অনুপম প্রিন্টার্সের সত্ত্বাধিকারী বীর মুক্তিযোদ্ধা মনির উদ্দিন চৌধুরী, যুক্তরাজ্য প্রবাসী তাছির মিয়া, এলাকার মুরব্বি তাহির আলী, আবু ফাত্তাহ চৌধুরী (তৈয়ব মিয়া), আবদুল আহাদ, হাজী সুরুজ আলী, সাবেক মেম্বার আজম আলী, সাবেক গৌছ আলী, আবুল বশর চৌধুরী, স্থানীয় ৬নং ওয়ার্ডের বর্তমান মেম্বার আনোয়ার হোসেন ধন মিয়া, সমাজসেবক মাস্টার বাবুল মিয়া, মুরব্বী আমজাদ আলী, শামছুল হক, হাফিজ রফিক মিয়া, সাবেক মেম্বার আছবর আলী, সুরত আলী, হাজী হরুপ মিয়া, জাহিদুল ইসলাম, জমির আলী, আবদুল মালিক, রুশন আলী, হাফিজ ওলিউর রহমান, মনির আলী, লুৎফুর রহমান, যুবনেতা আতিক মিয়া, ফারুক মিয়া, রিপন আহমদ, শামিম মিয়া, তারিছ আলী, মতছির আলী, সেবুল মিয়া, মানিক মিয়া, শফিকুল ইসলাম, চাদ মিয়া, রুহেল আহমদ কালু, লিটন মিয়া, আলী হোসেন, জাকির ডন, হাফিজ কাওছার আহমদ প্রমুখ। কোরআন তেলাওয়াত করেন হাফিজ আবু হায়াত জাহান।

দোয়া মাহফিলে উক্ত রাস্তার সাথে জড়িত যারা জীবিত নেই তাদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা ও জীবিতদের দীর্ঘায়ু ও সুস্থতা কামনা করে দোয়া পরিচালনা করেন দৌলতপুর মাঝের মসজিদের ইমাম মাওলানা আবদুল হেমিক নুরী।

যুক্তরাজ্য প্রবাসী কদর উদ্দিন ও আবুল হোসেন মামুনসহ এলাকার অনেক প্রবাসীর প্রচেষ্ঠায় এবং সহযোগিতায় এই রাস্তাটি পাকাকরণ করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য রাস্তাটি করার প্রথম উদ্যোগ গ্রহন করেন তৎকালিন ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সোনা মিয়া চৌধুরী। পারে রাস্তাটি পাকা করনের উপযোগি করে মাটি ভরাট করেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মুহিবুর রহমান। এর পর পাকা করনের প্রথম উদ্যোগ গ্রহন করে রাস্তা পরিদর্শন করেন সাবেক এমপি এম ইলিয়াস আলী।

পরবর্তীতে সাবেক এমপি শফিকুর রহমান চৌধুরী আবারো উদ্যোগ গ্রহন করেন। এর পরবর্তীতে ইয়াহইয়া চৌধুরী এমপির অক্লান্ত প্রচেষ্টায় রাস্তাটির চুড়ান্ত অনুমোদন লাভ করে। উক্ত রাস্তার টাকা বরাদ্ধ করায় এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here