তোমাকে ভুলে থাকবার এক সহস্র দিব্যি কেটে

নিরন্তর কাজ করে চলেছি,
আলমারি থেকে কখনো নামাচ্ছি লাল শাড়ি ;
আবার কখনো সবুজ ডোরা দেওয়া সোনালী পাড় ।

বিশেষ দিবসে কী দিয়ে কী শরীরে জড়াই তা নিয়ে
তীব্র চিন্তায় মগ্ন হতে হতে হঠাৎ মনে হলো ;
তোমাকে জিজ্ঞেস করি আজ কোন পাঞ্জাবী
পড়েছো কীনা ।
আমার প্রতিজ্ঞাবদ্ধ চিন্তা ভেসতে গেল ,
মন শক্ত করে ফিরে গেলাম পুনরায়
নিজের কর্ম ব্যস্ততায় ।

ডালের ফোড়ন দেবার আগ দিয়ে মনে হলো ;
ইশ নুনটা কি খুব বেশি হয়ে গেল !
আনমনে দু’বার দিয়ে ফেললাম নাতো ?
দেখিতো , তোমাকে ডেকে –
একবার লবণ চেখে দেখো ,
আসলেও নুন বেশি পড়লো কীনা ।
উফ পুনরায় আমার প্রতিজ্ঞার গাছে জল !
থাক , এবার না হয় ভর দুপুরে দু’কদম হেঁটে আসি
এই শহরের ঘিঞ্জি রাস্তা ধরে ।
আমার ভাবতে দেরী নেই ,
আচমকাই আবার মনে হলো–
খাবার মেন্যুতে আজ শোল মাছের ঝোল ছিল
কীনা তোমার অথবা কড়া উচ্ছে ;
বাংগালীয়ানা না হলে তোমার জিহবায়তো শয় না।

তুমি থাকলে হয়তো বেরী বাঁধের পাড় ঘেষে
বসে চা পান করতাম,
ভাত ঘুম তাড়াবার ওই একটাইতো উপায়।
দু’জন নিরিবিলি তুরাগ পাড়ে ভেসে যাওয়া পালহীন নৌকো দেখতাম ।
এমন এলেবেলে ভাবনা ভাবতে ভাবতে

তোমাকে ভুলে থাকবার দিব্যিটাই দিব্যি রকম ভুলে গেলাম ।

জানালা -দরজা- যন্ত্রপাতি সব কিছুর মধ্যে
তালা দিয়ে রাখতে পারলেও ,
হৃদয়ের দুয়ার বদ্ধ রাখি কী করে !
ওখান দিয়ে তুমি অনবরত হেঁটে যাও আবার ফিরে আসো ,

তাকে বাঁধা দেবার শক্তি আমার নেই ।
বরঞ্চ প্রতীক্ষাগুলো কেবল ক্লান্তির ঘোর লাগা
সময়ের সাথে মগ্ন হতে থাকে …

১৭ ই মার্চ ২০২০

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here