২০২১ সালে লেহি আইনে মার্কিন কংগ্রেস সংশোধনী এনেছে। এ আইন অনুযায়ী কোনো দেশের কোনো নিরাপত্তা বাহিনীর কোনো ইউনিটের বিরুদ্ধে ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ থাকলে তারা সহায়তা পাওয়ার যোগ্য হবে না।
নতুন সংশোধনী অনুযায়ী সহায়তা গ্রহণকারী দেশকে বিষয়টি মেনে চলতে লিখিত চুক্তি করতে হবে। লিখিত চুক্তি করার আগে কোনো নিরাপত্তা বাহিনী কিংবা বাহিনীগুলোকে আর্থিক সহায়তার জন্য মনোনীত করা হবে না। নতুন এই সংশোধনী ২০২২ সালের ১ জানুয়ারি বিশ্বের সব দেশের জন্য কার্যকর হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র গত বছরের ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে সংশোধিত আইন অনুযায়ী চুক্তির জন্য বাংলাদেশকে সময় বেঁধে দিয়েছিল। পরে বাংলাদেশের অনুরোধে ওই সময়সীমা ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়। এ বছরের ১ জানুয়ারি থেকে এই আইন কার্যকর হলেও বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রকে চূড়ান্ত মতামত জানায়নি। মার্কিন কূটনৈতিক সূত্রগুলোর তথ্য অনুযায়ী দুই পক্ষের কূটনৈতিক চ্যানেলে এ বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে। ফলে লেহি আইনের আওতায় বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনীর জন্য অনুদান এখনো অব্যাহত আছে।

লেহি আইনে যে সংশোধনী আনা হয়েছে, তাতে বাংলাদেশের মতামত বা প্রস্তাব যুক্ত করার সুযোগ আছে কি না—এমন এক প্রশ্নের উত্তরে মার্কিন দূতাবাস কর্মকর্তা বলেন, আইনটি যুক্তরাষ্ট্রের নিজস্ব আইন। এতে পরিবর্তন যেটা আনা হয়েছে, সেটিও খুব সামান্য। কাজেই এখানে অন্য দেশের মতামত যুক্ত করার কোনো সুযোগ নেই।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর ও রাজস্ব বিভাগ গত বছরের ডিসেম্বরে র‌্যাবের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এখন র‌্যাব কি লেহি আইনের আওতায় কোনো সহায়তা পাবে কি না, জানতে চাইলে মার্কিন দূতাবাসের এক কর্মকর্তা বলেন, গ্লোবাল ম্যাগনিটস্কি হিউম্যান রাইটস অ্যাকাউনটিবিলিটি অ্যাক্ট এবং লেহি আইন দুটি আলাদা আইন। গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে র‌্যাব ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের তহবিল পাওয়ার ক্ষেত্রে অযোগ্য বিবেচিত হয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here