প্রবাস বার্তা টোয়েন্টিফোর ডটকমের লন্ডন প্রতিনিধি মোঃ শওকত : মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক, প্রগতিশীল নাগরিক অধিকার আন্দোলনের সংগঠক অকালপ্রয়াত ম আ মুক্তাদির স্মরণসভা ২৬ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হয়েছে। ব্রাডি সেন্টারে আয়োজিত এ স্মরণসভায় বক্তারা বলেন, মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে যে প্রজন্ম বাংলাদেশ স্বাধীন করেছে, তাদের অনেকেই আজ জীবনসায়াহ্নে। অনেকেই চলে গেছেন দেশ ও সমাজ নিয়ে তাঁদের স্বপ্নযাত্রার মাঝপথে। কিন্তু এ তো সত্য যে স্বপ্নচারী বিপ্লবীদের কোনো মৃত্যু নেই। ম আ মুক্তাদির ছিলেন তেমনই একজন।
কিশোর মুক্তিযোদ্ধা ম আ মুক্তাদির সিলেটের সুরমাপাড় থেকে মুক্তিযুদ্ধের ডাকে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। প্রগতিশীল তরুণ সংগঠক ছাড়াও ক্রীড়া, সাংবাদিকতাসহ নানা ক্ষেত্রে তিনি অবদান রেখেছেন।
স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা এ সংগঠককে দীর্ঘদিন কারাভোগ করতে হয়েছিল। একপর্যায়ে যুক্তরাজ্যে গিয়ে মামলা ও পারিবারিক কারণে আটকা পড়েন। এখানেও নাগরিক আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন তিনি। মাঠপর্যায়ের কর্মী হিসেবে, সংগঠক হিসেবে নিজেকে নিয়োজিত রাখেন। ব্রিটেনে বাংলাদেশি কমিউনিটির ‘বাংলা টাউন’ প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন তিনি।
অনেকটা অকালেই মাত্র ৪৪ বছর বয়সে ম আ মুক্তাদির ১৯৯৭ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর ইন্তেকাল করেন। তাঁরই সতীর্থ অনুরাগীসহ সিলেট অঞ্চলের নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ এ স্মরণসভার আয়োজন করেন।
স্মরণসভায় সভাপতিত্ব করেন প্রবীণ কমিউনিটি নেতা মাহ্মুদুল হাসান এম, বি, ই। সভা পরিচালনা করেন গ্যাছুর রহমান। আলোচনায় অংশ নেন নাজিম চৌধুরী, হাবিব বাবুল, নজরুল ইসলাম বাসন, সৈয়দ আবুল ম্নসুর লিলু, ছমির উদ্দীন, সাবেক কাউন্সিলার গোলাম মরতুজা, কাউন্সিলার তারেক খান, মাহ্মুদুর রহমান শাহ্নুর, সাবেক কাউন্সিলার সাহেদ আলী, বজলুল হক, আব্দুল মালেক খোকন, মোহাম্মেদ শওকত, রেদ ওয়ান খান, কাউন্সিলার সাদ চৌধুরী, মওলানা আব্দুল কুদ্দুস, মুজিবুল হক মনি, কবি নজরুল ইসলাম, ফখর উদ্দীন চৌধুরী, আব্দুল আজিজ, সাবেক কাউন্সিলার সেলিম উল্লাহ ও বুলবুল চৌধুরী প্রমুখ।
দেশ ও যুক্তরাজ্যে ম আ মুক্তাদিরের জীবন ও কর্মকাণ্ডের নানা দিক নিয়ে আলোচনায় বক্তারা বলেন ম আ মুক্তাদির এমনই এক কর্মবীর ছিলেন, যিনি সমাজকে নানাভাবে আন্দোলিত করে গেছেন।
ম আ মুক্তাদিরদের সাংগঠনিক দক্ষতায় সারা বাংলাদেশের তারুণ্য একসময় উজ্জীবিত হয়েছিলো এবং তার আদর্শ প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে সঞ্চারিত হচ্ছে। আদর্শবাদের রাজনীতির দীক্ষা নিয়েছিল যে প্রজন্ম, তাদের আলোর বিভায় সমাজ এগিয়ে যাবে বলে বক্তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।