প্রবাস বার্তা টোয়েন্টিফোর ডটকম নিউজ ডেস্ক :: ডাক্তার ফেরদৌস খন্দকার, নিউইয়র্কের মাউন্ট সিনাই হাসপাতালের, মেডিসিন বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন। নিউইয়র্কের একজন সুপরিচিত ডাক্তারও তিনি। কিন্তু অতিমানব বা মহামানব এমন কোনো কীর্তিমান নন। এ মানুষটি হঠাৎ করে কারো কাছে মহামানব কারো কাছে ধূর্ত মানব আর সবমিলিয়ে মিস্টিরিয়াস ক্যারেক্টার হিসেবে আবির্ভুত হয়েছেন।

১৯৯৮ সালে আমেরিকা আসার পর,নিউইয়র্ক সিটির জ্যাকসন হাইটসের বাংলা অধুষ্যিত এলাকা থেকে, ডাক্তারি পেশায় অনুশীলন শুরু করেন। ধীরে ধীরে চিকিৎসা সেবায় নিজ দেশের মানুষজনের কাছে পরিচিত নাম হয়ে উঠেন ফেরদৌস খন্দকার। করোনার সময়ে এখানকার বাংলাদেশী কমিউনিটির একটি টিভি চ্যানেলে, তার দেয়া পরামর্শ শুনে উপকৃত হয়েছেন অনেকেই। এতদিন এ বায়োডাটা দিয়ে তাঁকে চিনতো সবাই, বায়োডাটা- র বাইরে আর কোনো আলোচনার বিষয়বস্তু ছিলেন না।

কিন্তু হঠাৎ জুনের শুরুতে, করোনার বৈশ্বিক মহামারীতে, নিজ দেশের মানুষের সেবা দিতে মাতৃভূমি বাংলাদেশে আসার অভিপ্রায় ঘোষণার পর তিনি এক রহস্য-মানবে পরিণত হন। তখন থেকে নানারকম কল্পকাহিনী তাঁর নাম দিয়ে শোনা যায়।

কেউ কল্পনায় তাঁকে দেবদূত বানানোর জন্য,করোনার সময়ে বাংলাদেশীদের বাড়িতে-বাড়িতে গিয়ে সেবা করেছেন, এমন ভিত্তিহীন তথ্য দিচ্ছেন, আবার তাঁর বিরুদ্ধেও যে গোষ্ঠী পাহাড়সম অভিযোগ দাঁড় করাচ্ছেন,তারা সত্য মিথ্যা কল্পকাহিনী তে গিনেজ বুকে নাম লিখেছেন তারা যে অভিযোগ করছেন সেগুলোর সত্যতা তাদের অভিযোগের বিবরণে প্রশ্নবিদ্ধ থাকছে বলে মনে করছেন কেউ কেউ।

বঙ্গবন্ধুর খুনি খন্দকার মুশতাকের রক্তের আত্মীয়, হুন্ডির মাধ্যমে দেশে প্রচুর অর্থ প্রেরন করেছেন, নিউইয়র্কের একটি হেলথ ইন্সুরেন্স কোম্পানির সাথে জালিয়াতি করে ইন্সুরেন্সটির ব্ল্যাক লিস্টেড হন, পাকিস্তানের পাসপোর্ট ব্যবহার করেন। যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামীলীগের দলীয় বড় কোনো পোস্ট পেতে, সভাপতি সিদ্দিকুর রহমানের সাথে অনৈতিক টাকার লেনদেন করেন। অভিযোগ প্রায় সবগুলো কাগজে কলমে খুঁজে মিলেনি।

নানা বিড়ম্ভনা কাটিয়ে সম্প্রতি এ চিকিৎসক নিউইয়র্ক ফিরে আসতেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইন্স্টাগ্রামে তার নারী রোগী কয়েকজন যৌন অভিযোগ নিয়ে হাজির, যে কারণে আইনের সামনে হয়তো খুব তাড়াতাড়ি দাঁড়াতে পারেন তিনি। শুনা যাচ্ছে নিউইর্য়কের একজন সংবাদকর্মী তার বিরুদ্ধে কলকাঠি নেড়ে যাচ্ছেন। আওয়ামীলীগের পোস্ট কিনতে টাকার লেনদেন সম্পর্কে জানতে সভাপতি সিদ্দিকুর রহমানের কে ফোন দেয়ার পর ক্ষুদে বার্তা দিলেও জবাব মিলেনি। ডাক্তার ফেরদৌস কে বক্তব্য নিতে ফোন করে পাওয়া যায়নি।

কমিউনিটি জন হাসান আলী বলেন ডাক্তার ফেরদৌস মহামানব অতিমানব বা ধূর্তমানব কিনা সেরকম কিছু জানা না থাকলেও ধারাবাহিক বিভিন্ন বিষয় দেখে বুঝা যায় একটা দল বেশ শক্ত হয়ে তার পেছনে লেগে রয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here