দীর্ঘদেহী, হাই আর্ম অ্যাকশন, অতিরিক্ত বাউন্স ও গতি—এসব গুণের কারণে বিশ্বের বাঘা বাঘা বাঁহাতি ব্যাটসম্যানরাও মরনে মরকেলকে খেলতে পছন্দ করতেন না। অ্যান্ড্রু স্ট্রাউস, অ্যালিস্টার কুকরা আছেন এই তালিকায়। ভারতের বাঁহাতি ওপেনার গৌতম গম্ভীর নাকি মরকেলকে খেলার ভয়ে আইপিএল নিলাম থেকে দক্ষিণ আফ্রিকান ফাস্ট বোলারকে নিজ দল কলকাতা নাইট রাইডার্সে নিয়েছিলেন! বাংলাদেশ ওপেনার তামিম ইকবালও তাঁর মুখোমুখি হওয়া ফাস্ট বোলারদের মধ্যে মরনে মরকেলকে রেখেছিলেন সবার ওপরে।
সাকিব এখন তাঁর পরিবারের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে আছেন। যুক্তরাষ্ট্র থেকেই সাকিব আল হাসান ফাউন্ডেশনের প্রচারণায় ফেসবুক লাইভে এসেছিলেন সাকিব। সেখানে তাঁর খেলা সবচেয়ে কঠিন বোলার কে—এক ভক্তের এই প্রশ্নে জবাবে সাকিব বলেন, ‘এটা আসলে পরিস্থিতির কারণে আলাদা হয়। মানে স্পিনিং উইকেট হলে স্বাভাবিকভাবে একজন স্পিনার খুব বিপদজনক হবে ফাস্ট বোলারের থেকে।
আবার সিমিং উইকেট হলে তখন ফাস্ট বোলারকে অনেক বিপদজনক মনে হয় স্পিনারের থেকে। সেদিক থেকে পেসারদের মধ্যে মরনে মরকেল সবার ওপরে। যখন আমি একটা বাচ্চা ছিলাম, ১৭-২০ বছর বয়সে জাতীয় দলকে প্রতিনিধিত্ব করছি, তখন দক্ষিণ আফ্রিকায় খেলতে গিয়েছিলাম, সে সময় মরনে মরকেল তাঁর সেরা সময়টাতে ছিলেন। ওকে আমার খুব বিপজ্জনক মনে হত ওই সময়।’
হালের ফাস্ট বোলারদের মধ্যে জফরা আর্চারের নাম নিয়েছেন সাকিব। গত বিশ্বকাপে জফরা আর্চারের ইংল্যান্ডের বিপক্ষেই সেঞ্চুরি করেছিলেন সাকিব। সেদিন সাকিবের বিপক্ষে গতির ঝড় তুলেছিলেন এই তরুণ ইংলিশ ফাস্ট বোলার। সাকিবের বিপক্ষে একবার বোলিং করেই সাকিবের কঠিন বোলারদের তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছেন আর্চার, ‘আর সম্প্রতি যদি কাউকে বলতে হয় তবে বলবো জফরা আর্চার, বিশ্বকাপের সময়। (মরকেল ও আর্চার) এই দুইজন পেস বোলার।’
পেসারদের কথা শেষে এবার স্পিনারদের মধ্যে তাঁর খেলা সবচেয়ে ভয়ংকর বোলারের নাম নেওয়ার পালা। ক্যারিয়ারের শুরুতে লঙ্কান কিংবদন্তি মুত্তিয়া মুরলিধরনের বিপক্ষে খেলেছিলেন সাকিব। তাই স্পিনারদের মধ্যে কঠিন বোলার বাছাই করতে খুব একটা চিন্তা করতে করতে হয়নি তাঁকে, ‘স্পিনার বললে অবশ্যই মুরলিধরন। নিঃসন্দেহে তিনি ছিলেন সবচেয়ে কঠিন বোলার যাঁকে আমি সামলেছি।’