প্রবাস বার্তা টোয়েন্টিফোর ডটকম নিউজ ডেস্ক :: সিলেটে গরীবের ডাক্তার বলে খ্যাত চিকিৎসক মঈন উদ্দিন করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যাওযার খবর পাওয়ার পরপরই এবার সুনামগঞ্জের আরেক চিকিৎসকের শরীরে ধরা পড়েছে করোনা। আজ বুধবার বিকালে তিনি নিজের আক্রান্ত হওয়ার তথ্য সংবাদমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
ডা. গৌতম রায় নামক এই চিকিৎসক ঢাকার নারায়ণগঞ্জে করোনা রোগীদের জন্য নির্ধারিত ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের প্রধান চিকিৎসা তত্ত্বাবধায়ক ও উপপরিচালক (স্বাস্থ্য) দায়িত্বে ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি সুনামগঞ্জ সদরের মুক্তারপাড়ায়। তিনি সুনামগঞ্জে ‘গরীবের ডাক্তার’ হিসেবে পরিচিত।
এ চিকিৎসক সংবাদমাধ্যমকে জানান, কয়েকদিন ধরে জ্বর, সর্দি ও কাশিসহ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার উপসর্গ ছিল তার মধ্যে। গত সোমবার তার শরীরের নমুনা নিয়ে পরীক্ষা করেন আইইডিসিআরের প্রতিনিধিরা। আজ বুধবার দুপুরে তাকে করোনা পজিটিভ বলে জানানো হয়।
তিনি আরো জানান, বর্তমানে তিনি আইসোলেশনে আছেন। তিনি বলেন, চিকিৎসকরা আক্রান্ত, স্টাফ আক্রান্ত। এভাবে তো আর চিকিৎসা দেয়া যাবে না। এতে অন্যরাও আক্রান্ত হবেন। স্বাস্থ্য বিভাগকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে। ডা. গৌতম রায় সুনামগঞ্জবাসীসহ দেশবাসীর কাছে দোয়া কামনা করেছেন।
প্রসঙ্গত: গৌতম রায় এক সময় সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার স্বাস্থ্যকর্মকর্তার দায়িত্বে ছিলেন। সততা ও নিষ্ঠার সাথে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালনে বিভিন্ন মহলের সাথে পরিচিত লাভ করেন। সরকারি দায়িত্ব পালনের পর শহরের আলফাত উদ্দিন স্কয়ারের সিটি ফার্মেসির উপরে রোগী দেখতেন তিনি। এ সময় অসচ্ছল ও গরীব রোগীদের কাছ থেকে ভিজিট ফি নিতেন না গৌতম রায়। এভাবেই ‘গরীবের ডাক্তার’ হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠেন তিনি।
জানা যায়, নারায়নগঞ্জ ৩‘শ শয্যা হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের একজন চিকিৎসক প্রথম করোনা আক্রান্ত হন। পরে ওই হাসপাতালের গাইনি বিভাগের এক চিকিৎসকের করোনায় আক্রান্তের খবর পাওয়া যায়। আক্রান্ত হন হাসপাতাল সুপারের সহকারীও (পিএ)। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. গৌতম রায়, নার্স, অফিস সহকারী, স্টোর কিপার, ওয়ার্ড বয় রয়েছেন।
এরপর ওই হাসপাতালের বেশ কয়েকজন চিকিৎসক ও স্টাফকে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়। তাদের মধ্যে ২১ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। সংগৃহীত নমুনায় নতুন করে আরো ১৩ জনের মধ্যে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়।