প্রবাস বার্তা টোয়েন্টিফোর ডটকম আন্তর্জাতিক নিউজ ডেস্কঃ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) জননেত্রী শেখ হাসিনা হলের আসন বরাদ্দের দাবিতে আন্দোলনরত ছাত্রীদের উপর চড়াও হওয়ার অভিযোগ উঠেছে সহকারী প্রক্টর মোহাম্মদ এয়াকুবের বিরুদ্ধে।
রোববার দুপুর দেড়টায় সহকারী প্রক্টর মরিয়ম ইসলাম লিজা ও এয়াকুব তাদের উপর চড়াও হন বলে অভিযোগ করেন আন্দোলনকারী। এ সময় ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর রেজাউল করিম উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে রোববার সকাল থেকে হলের সামনে আসন বরাদ্দের দাবি আন্দোলনে বসে ছাত্রীরা।
আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, দীর্ঘ দিন ধরে আবাসিক শিক্ষার্থী হিসেবে টাকা দিয়ে আসলেও আমরা বছরের পর বছর হলে সিট বরাদ্দ পাচ্ছি না। এ বিষয়ে বারবার আমাদের হল প্রশাসন আশ্বস্ত করেছে। কিন্তু হল বরাদ্দ দেয়নি। আমরা তাই নিরুপায় হয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনা হলের সিট বরাদ্দের দাবিতে হলের সামনে অবস্থান নিয়েছিলাম। সহকারী প্রক্টররা আমাদের দাবি মানার বিষয়ে কথা না বলে আমাদের ওপর চড়াও হয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন।
আন্দোলনকারী ছাত্রীদের দাবি দুটি হলো, ১৪ অক্টোবরে ভাইভার ফল প্রকাশ করতে হবে ও ২০ অক্টোবরের মধ্যেই যোগ্যদের যেন নোটিশ দেওয়া হয়।
আন্দোলন চলাকালে চবি শিক্ষার্থী আশরাফী নিতু বলেন, যতদ্রুত সম্ভব ছাত্রীদের হলে তুলতে হবে। শিক্ষার্থীদের নিজ হলে তুলে দেওয়ার বিপরীতে নিরাপত্তার কথা বলে প্রশাসন টালবাহানা করছে।
আরেক আন্দোলকারী নিশাত নাওয়ার রাফা বলেন, দুদিনের মধ্যে এই কার্যক্রম শেষ করতে হবে। আমরা বারবার আন্দোলন করছি, প্রশাসন আমাদের আশ্বাস দিয়েছে। কিন্তু কোনো কাজ হয় না।
এ বিষয়ে কথা বলতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর মোহাম্মদ এয়াকুবকে বেশ কয়েকবার ফোন দিয়েও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) রেজাউল করিম বলেন, ভাইভা নেওয়া হয়েছে। তাদের তালিকা অনেকটাই প্রস্তুত হয়ে গেছে। আর হলটিতে এখনও কনসট্রাকশানের কাজ চলায় তাদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করেই আমাদের একটু দেরি করতে হচ্ছে।
সিটে ওঠার জন্য জননেত্রী শেখ হাসিনা হলের সংযুক্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের আন্দোলন দীর্ঘদিনের। প্রাক্তন উপাচার্যের সময়ও আন্দোলন করে আসছিল তারা। পরে প্রক্টর পরিবর্তন হওয়ার পর তাদের ভাইভা নেওয়া হয়। ১৬ ও ১৭ সেপ্টেম্বর এই ভাইভা নেওয়া হয়। ফল প্রকাশের জন্য এক মাসের সময়ও দেওয়া হয় বলে দাবি প্রশাসনের। তবে শিক্ষার্থীরা বলছে দশ দিনের সময় দেওয়া হয়েছিল।