প্রবাস বার্তা টোয়েন্টিফোর ডটকম নিউজ ডেস্ক : : চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং সেনাবাহিনীকে যুদ্ধের প্রস্তুতি বাড়াতে নির্দেশ দিয়েছেন। এ ছাড়া সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতিটি দেখে তাঁদের সার্বভৌমত্বকে দৃঢ়তার সঙ্গে রক্ষা করতে বলেছেন।

ভারতের এনডিটিভি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, সিকিম সীমান্তে নিয়ন্ত্রণরেখার (এলএসি) কাছে ভারত ও চীনের সামরিক বাহিনীর মুখোমুখি হওয়ার প্রাক্কালে গতকাল মঙ্গলবার এ নির্দেশ দেন সি। তিনি অবশ্য সুনির্দিষ্ট কোনো হুমকির কথা উল্লেখ করেননি।

ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিসি) সাধারণ সম্পাদক এবং ২০ লাখ সদস্যের শক্তিশালী সামরিক বাহিনীর প্রধান সি চিন পিং (৬৬) বেইজিংয়ে চলমান সংসদ অধিবেশন চলাকালীন পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) এবং পিপলস আর্মড পুলিশ ফোর্সের প্রতিনিধিদের একটি পূর্ণাঙ্গ বৈঠকে যোগ দিতে গিয়ে এ মন্তব্য করেন।

লাদাখ ও উত্তর সিকিমের এলএসি বরাবর বেশ কয়েকটি অঞ্চলে সম্প্রতি ভারত ও চীন সেনাসংখ্যা বাড়িয়েছে। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে। তারা নিজ নিজ অবস্থান সৃদৃঢ় করার সুস্পষ্ট সংকেত দিয়েছে।

মার্কিন নৌবাহিনী বিতর্কিত দক্ষিণ চীন সাগরের পাশাপাশি তাইওয়ান জলসীমানায় টহল বাড়ানোয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের সামরিক দ্বন্দ্বও বেড়ে চলেছে। ওয়াশিংটন এবং বেইজিংও করোনাভাইরাস মহামারির উৎপত্তিস্থলকে কেন্দ্র করে কথার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।

২২ মে যুক্তরাষ্ট্রের পর দ্বিতীয় বৃহত্তম সামরিক ব্যয়কারী চীন তার প্রতিরক্ষা বাজেট ৬ দশমিক ৬ শতাংশ বাড়িয়ে ১৭৯ বিলিয়ন ডলার করেছে, যা ভারতের চেয়ে প্রায় তিন গুণ। সম্প্রতি কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে অর্থনৈতি বিপর্যয়ে পড়া চীনের এ বাজেট বৃদ্ধি অতীতের তুলনায় সর্বনিম্ন।

ভারত বলেছে, চীনা সেনাবাহিনী লাদাখ ও সিকিমের এলএসির পাশে সাধারণ টহল দিয়েছে।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, সীমান্তের ভেতরই ভারতের সব কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। সীমান্ত পরিচালনায় ভারত বরাবরই অত্যন্ত দায়িত্বশীল। তবে ভারত তার সার্বভৌমত্ব ও সুরক্ষার জন্য দৃঢ়ভাবে অঙ্গীকারবদ্ধ। ভারতীয় সেনাদের সিকিম সেক্টরে এলএসি পেরিয়ে কার্যক্রম চালানোর কথা সঠিক নয়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here