প্রবাস বার্তা ২৪ ডটকম নিউ্জ ডেস্কঃ ডাকসু নির্বাচনে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষকদের নিয়ে গঠিত পর্যবেক্ষক দলের সদস্যরা বলেন, এই নির্বাচনে অনিয়মের ঘটনাগুলো আমাদের খুবই লজ্জিত করেছে। নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করে অবিলম্বে নতুন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার দাবি জানানোর পাশাপাশি সুষ্ঠু তদন্ত করে অনিয়মের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তি দাবি করেছেন তারা। দীর্ঘ ২৮ বছর পর অনুষ্ঠিত হওয়া এই নির্বাচন সর্বাঙ্গীণ সুষ্ঠু হয়নি এমন মন্তব্যও করেন দলটি। চ্যানেল আই
তারা বলেন, ১১ই মার্চ বহুল প্রতীক্ষিত ঐতিহাসিক ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো। ডাকসু নির্বাচন নিয়ে তফসিল ঘোষণার সাথে সাথে এই নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি আমাদের সাধারণ শিক্ষকদের মধ্যেও ব্যাপক আগ্রহের সঞ্চার হয়। আমরা সকাল নয়টা থেকে বিকেল দুইটা পর্যন্ত এসএম হল, সূর্যসেন হল, মহসীন হল, এ এফ রহমান হল, শহীদুল্লাহ্ হল, রোকেয়া হল এবং কুয়েত মৈত্রী হল পরিদর্শন করি।
কুয়েত মৈত্রী হল থেকে আমাদের পর্যবেক্ষণ শুরু করি কারণ, আমরা শুরুতেই জানতে পারি এই হলে ভোটদানে অনিয়মের কথা। রোকেয়া হলেও গোলযোগের খবর পাই। সেখানে গিয়ে জানতে পারি সরকারি ছাত্র সংগঠনের সমর্থক নয এমন শিক্ষার্থীরা ভোটকেন্দ্রের পাশের রুমে ব্যালট পেপারের সন্ধান পেয়েছে এবং সেগুলোকে দেখানোর জন্য কর্তৃপক্ষকে বাধ্য করেণ। তবে হলের ভেতরে মোটামুটি শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হতে দেখা যায়। তবে ভোটকেন্দ্রের বাইরে কতকগুলো অনিয়ম চোখে পড়ে।
তারা আরো বলেন, ৪৩ হাজার ভোটারের একটি নির্বাচনে ব্যালট পেপাওে এবং মুড়িতে সিরিয়াল নম্বর না থাকাটা আমাদের কাছে বিস্ময়কর মনে হয়েছে। কারণ এতে নির্বাচনের ফলাফলে গুরুতর অনিয়ম ঘটানো সহজ হয়ে যায়। কোন হলে কোন সিরিয়াল গেল তার ট্র্যাক রাখার উপায় থাকে না।
পরিশেষে এটাই বলতে চাই, এই বহুল প্রতীক্ষিত ডাকসু নির্বাচনের অনিয়মের ঘটনাগুলো জনগণের নিকট পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ভাবমূর্তিকে চরমভাবে বিনষ্ট করেছে। এতে শিক্ষার্থী ও শিক্ষক সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে যা সার্বিকভাবে একাডেমিক পরিবেশ বিঘিœত করবে।
কুয়েত মৈত্রী হল এবং রোকেয়া হলে ভোটগ্রহণ সাময়িক স্থগিত করার পর পুনরায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়। দুটি হল ছাড়া অন্য হলগুলোতে দুপুর ২ টায় ভোটগ্রহণ শেষ হয়।