প্রবাস বার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম ডেস্ক রিপোর্ট :: ম্যাচ ফিক্সিং নিয়ে আইসিসির নিয়ম ভাঙায় ক্রিকেটে নিষিদ্ধ হচ্ছেন সাকিব আল হাসান। ধারণা করা হচ্ছে, ১৮ মাস নিষেধাজ্ঞা পেতে পারেন তিনি। এ সংকটময় মুহূর্তে সবাইকে তার পাশে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ শাহরিয়ার আলম।
রাজনীতিবিদদের নিয়ে বিভ্রান্তিকর হেডলাইন করা রেওয়াজে পরিণত হয়েছে। কিন্তু দয়া করে সাকিবের (বা অন্য যে কোন আন্তর্জাতিক সম্মান বয়ে এনেছে এরকম কোন ক্রীড়াবিদের) সাথে এটা করবেন না।
স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশের সেরা সম্পদের অন্যতম একটির নাম সাকিব আল হাসান, যে আমাদের অনেক কষ্টের মাঝেও আমাদের মুখে হাসি ফুটিয়েছে, আমরা বিশ্বের সেরা সেরা যেসব অলরাউন্ডারদের দেখে বেড়ে উঠেছিলাম তাদের সবার চেয়ে যে সে সেরা তা আমার আপনার বিবেচনায় নয়, বছরের পর বছরের পরিসংখ্যান এবং আইসিসিই তা বলেছে।
২০১৭ সালে সাকিবকে ম্যাচ পাতানোর প্রস্তাব দেয় মোস্ট ওয়ান্টেড এক জুয়াড়ি। অবশ্য সেটা গ্রহণ করেননি তিনি। তবে বিপত্তিটা বাঁধে অন্য জায়গায়। সঙ্গে সঙ্গে নিজ বোর্ড কিংবা আকসুকে সেটি জানাননি অন্যতম বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।
এ ব্যাপারে ওই সময় তাকে জিজ্ঞেস করা হলেও বিষয়টি অস্বীকার করেন সাকিব। পরে তার ফোন কল ট্র্যাক করে ঘটনার সত্যতা পায় দুর্নীতি দমন ইউনিট। স্বভাবতই চটেছে তারা। তাকে ১৮ মাস নিষিদ্ধের সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে আকসু।
বিষয়টি হালকাভাবে নেয়ায় এমন শাস্তির মুখে পড়তে হচ্ছে সাকিবকে।তার ব্যাপারে আইসিসি কঠিন। কারণ এ বিষয়ে ২৫টির মতো প্রশিক্ষণ নিয়েছেন তিনি।এরই মধ্যে শাস্তি কমানোর জন্য আবেদন করতে প্রস্তুতি সেরে ফেলেছেন অন্যতম বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।
আইসিসির আইন অনুযায়ী, বাজিকররা কোনো ক্রিকেটারকে ম্যাচ পাতানোর অফার করলে সেটা সঙ্গে সঙ্গে আকসুকে জানাতে হয়। এটা গোপন করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এক্ষেত্রে ৬ মাস থেকে ৫ বছরও আন্তর্জাতিক কিংবা ঘরোয়া ক্রিকেটে নিষিদ্ধ হতে পারেন ক্রিকেটার।
তথ্যসূত্রঃ যুগান্তর